ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে গেছেন শেখ হাসিনা। ভারতে তার অবস্থানের বৈধ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নানা আলোচনা আর তর্ক-বিতর্ক তৈরি হয়।
এক সময় গুজব ছড়ায় তিনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে গেছেন। আবার শোনা যায় মধ্যপ্রাচ্যের একটি বিমানবন্দর থেকে তিনি ফিরে আসেন ভারতে। তবে ভারতে শেখ হাসিনা কতদিন অবস্থান করবেন, কী স্ট্যাটাসে করবেন, সে বিষয়ে দেশটির সরকার কোনো স্পষ্ট তথ্য দিচ্ছিল না।
এর মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাকে ট্রাইবুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয়সহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে কবে, কীভাবে দেশে ফেরানো হবে তা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যেই ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে পরেই ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল দিল্লিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা ভারতেই রয়েছেন। রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের বিষয়ে আমি আগেই বলেছিলাম যে, তিনি স্বল্প সময়ের নোটিশে এখানে এসেছিলেন। তিনি এখানেই রয়েছেন।”
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রনধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা বাংলাদেশের বিষয়ে সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদন পেয়েছি। তবে এই বিষয়ে আমার কাছে মন্তব্য করার মতো কোনো তথ্য নেই।”
তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত গন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা থাকলেও তিনি কতদিন ভারতে অবস্থান করবেন, সেই বিষয়ে দেশটির সরকার কোনো তথ্য জানায়নি।