পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান বর্তমানে কারাগারে আছেন। যেখানে থেকেই নির্বাচন করে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছেন তাকে সমর্থন করা স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা। কিন্তু অন্যদের চেয়ে বেশি আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারছে না দলটি। এমন পরিস্থিতিতে অন্য দলের সঙ্গে জোট করার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে কারাগার থেকে কারও সঙ্গে জোট না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইমরান খান।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খান জানিয়েছেন, তার অনুগত প্রার্থীরা পিএমএল-এন কিংবা পিপিপির সঙ্গে জোট করবে না। তবে ইতোমধ্যে ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নওয়াজ শরীফের দলে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন পিটিআইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য।
পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার গওহর খান জানিয়েছেন, ইমরান খান চান, কেন্দ্র কিংবা পাঞ্জাবে নিজস্ব সরকার গঠন করুক পিটিআই। কারও সঙ্গে জোটে গিয়ে নয়।
এদিকে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে দেওয়া এক টুইটে পিটিআই জানায়, রাষ্ট্রের শক্তির জন্য জনসমর্থনই সবচেয়ে বেশি জরুরি। যদি সত্যিকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন, তবে তাদের সঙ্গে কথা বলে দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব। দেশের জনগণ, বিশেষ করে তরুণরা দেশের নেতৃত্ব পিটিআইকে দিয়েছে। এটি উপেক্ষা করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সমান হবে।
ওই টুইটে আরও বলা হয়, এক আঙুল দিয়ে সূর্যকে ঢেকে দেওয়া যায় না। জনগণও তাই প্রত্যাখ্যাত ব্যক্তিদের শাসন করতে দেবে না। জনগণ ইমরান খানের নেতৃত্বে আস্থা রেখেছে, এটা ভোটে স্পষ্ট। তারা বিশ্বাস করেন, এই সংকট থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধার করতে পারবেন তিনি।
এরপর টুইটে ইমরান খানের মুক্তি দাবি করে পিটিআই। তারা জানায়, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানকে মুক্তি দিতে হবে এবং দেশকে এই সংকট থেকে উদ্ধার করার সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৬০ ঘণ্টা পর প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০২টি আসন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৪টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি। এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্য দলগুলো পেয়েছে ১৭টি আসন।
পাকিস্তানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৪ আসন। কিন্তু কোনো দলই এই সংখ্যায় না পৌঁছানোয় এখন জোট সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছেন দেশটির রাজনীতিবিদরা।