সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ভোটের মাঠে ঠিকই জয়ী হলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে না পারলেও এবার দেশটির জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর পর থেকে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রায় সবাই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণপরিষদ নির্বাচনের ২৫০ আসনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছে ৯৯ টি। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের আপডেট অনুসারে, ২৪৫টি আসনের মধ্যে ইমরান সমর্থিতদের দখলে গেছে ৯৮ টি। আসনসংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পিএমএল–এন ৭১ আসনে, পিপিপি ৫৩ ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট গ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। কোনো দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।