পাকিস্তানের বহুল আলোচিত গণপরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের হিসাব অনুসারে এই নির্বাচনে লড়ছেন প্রায় ১৮ হাজার প্রার্থী। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খান এই নির্বাচনে জেল থেকেই ভোট দিয়েছেন।
পাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচন নানা কারণেই আলোচিত। বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল পিটিআইয়ের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ও সরকারের বিরুদ্ধে। বিপরীতে আরেক সাবেক দণ্ডিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে বিদেশ থেকে এনে তাঁর সাজা স্থগিত করে নির্বাচনে লড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণপরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৭ হাজার ৮১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৬৯৫ জনই লড়ছেন প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে। বাকি ৫ হাজার ১২১ জন লড়ছেন জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে।
নির্বাচনে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ১৬ হাজার ৯৩০ জনই পুরুষ এবং নারী মাত্র ৮৮২ জন। মজার ব্যাপার হলো, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ ট্রান্সজেন্ডার প্রতিদ্বন্দ্বীও। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে ৬ হাজার ৩১ প্রার্থী বিভিন্ন দলের ব্যানারে নির্বাচন করছেন। বাকিরা লড়ছেন স্বতন্ত্রভাবে।
এদিকে, নির্বাচনের আগে একাধিক মামলায় তড়িঘড়ি করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ইমরান খানকে। আগে থেকেই অবশ্য তাকে তোশাখানা মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছিল। এই অবস্থায় কারাগার থেকেই পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে ভোট দেন।
ইমরান খান ছাড়াও শাহ মাহমুদ কুরেশি, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহি, আওয়ামী মুসলিম লীগের শেখ রশিদ এবং ইমরান খান সরকারের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীও কারাগারে থেকেই ভোট দিয়েছেন।