জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযানে শুরু করেছে মিয়ানমারের তিন দলীয় জোট। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
মিয়ানমারের ‘ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি (এএ), ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স’ (এমএনডিএএ)- একসঙ্গে জোট বেঁধে দেশটির জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে।
চলমান গৃহযুদ্ধে চীনের সীমান্তবর্তী এলাকা মিয়ানমার সেনাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তিন দলীয় এ জোট। তাদের দাবি- মিয়ানমার-চীন সংযোগরক্ষাকারী সড়কও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ও দলীয় জোটের এ সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে অন্তত ৯০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ এর থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনারা। আড়াই বছর ধরে শাসনে থাকা সেনা সরকার এই প্রথম এতো বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মিয়ানমারের ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল’ (এসএসি)-এর প্রেসিডেন্ট মিয়ন্ত শোয়ে এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে আমাদের দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।’’
চীন-মিয়ানমার বাণিজ্যের ‘কেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত সীমান্তবর্তী চীনশয়েহাউ শহরের দখল নিয়েছে তিন দলীয় জোট। সেখানে কয়েকটি চীনা বাণিজ্যিক সংস্থার দপ্তরেও হামলা চালিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বেইজিং দলীয় জোটটির কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন করেছিল। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) মিয়ানমারের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর–পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালিয়ে আরও বহু এলাকা দখল করে নিয়েছে ওই দলীয় জোটটি।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা