• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সন্তান জন্ম দিলেই কর্মীদের অর্থ দেবে চীনা প্রতিষ্ঠান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৩, ০৯:৪৯ পিএম
সন্তান জন্ম দিলেই কর্মীদের  অর্থ দেবে চীনা প্রতিষ্ঠান

সম্প্রতি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে চীনের জনসংখ্যা। আর তাইতো জনসংখ্যা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার। এ প্রচেষ্টায় এবার যুক্ত হলো বেইজিংয়ের অন্যতম বড় ট্রাভেল এজেন্সি ট্রিপডটকম। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৩২ হাজার কর্মীকে সন্তান নিতে উদ্বুদ্ধ করতে, কর্মীদের জন্য ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার বোনাস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটিতে অন্তত তিন বছর ধরে চাকরি করা কর্মীরা প্রতিবছর প্রতিটি নবজাতকের জন্য ১ হাজার ৩৭৬ মার্কিন ডলার করে বোনাস পাবেন। সন্তানের জন্মের দিন থেকে পাঁচ বছর বয়সে না পৌঁছানো পর্যন্ত এই বোনাস পাবেন কর্মীরা। আজ শনিবার (১ জুলাই) থেকে এই নীতি কার্যকর হবে।

ট্রিপডটকমের নির্বাহী চেয়ারম্যান জেমস লিয়াং এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই নতুন চাইল্ড কেয়ার বেনিফিট প্রবর্তনের মাধ্যমে আমরা কর্মীদের আর্থিক সহায়তা দেব। এতে কর্মীরা তাদের পেশাগত লক্ষ্য ও অর্জনের সঙ্গে আপস না করে পরিবার শুরু বা বড় করতে উৎসাহিত হবেন।”

জেমস লিয়াং বলেন, “আমি সব সময় পরামর্শ দিয়েছি, সরকার শিশুসহ পরিবারগুলোকে অর্থ প্রদান করুক...পরিবারের শিশুপালনের খরচ কমাতে এবং তরুণদের একাধিক সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা পূরণ করতে সহায়তা করুক। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো অনুকূল প্রজনন পরিবেশ তৈরি করতে নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী ভূমিকা পালন করতে পারে।”

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চীন বর্তমানে জনসংখ্যা–সংকটের মুখোমুখি হয়ে আছে। গতবছর চীনের জনসংখ্যা গত ৬০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো কমে গিয়েছিল। এই সময় দেশটিতে প্রতি এক হাজার জনে মাত্র ৬ দশমিক ৭৭ জন সন্তান জন্ম দিতেন, যা ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে সর্বনিম্ন জন্মহার। দেশটি এখন ভারত থেকে এক ধাপ পিছিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ।

২০১৫ সালে বেইজিং তার কয়েক দশক ধরে চলা ‘এক সন্তান’ নীতি বাতিল করে প্রাথমিকভাবে বিবাহিত দম্পতিদের দুই সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়। কিন্তু ২০১৬ সালে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি হওয়ার পর দেশটির জাতীয় জন্মহার হ্রাস অব্যাহত আছে। বিষয়টি নীতিনির্ধারকদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!