জাপানে প্রায় ৯০০টি বিলাসবহুল ঘড়ির ‘হদিস’ পাওয়া যাচ্ছে না। এসব ঘড়ির মোট মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।
একটি অনলাইন ভাড়ার প্ল্যাটফর্মকে এসব বিলাসী ঘড়ি দিয়েছিলেন প্রকৃত মালিকেরা। প্ল্যাটফর্মটি গুটিয়ে গেলে এসব ঘড়ির আর হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অনলাইন প্ল্যাটফর্মটির মালিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পালিয়ে গেছেন।
এখন জাপানি পুলিশ এসব ঘড়ি খুঁজে বের করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া চেষ্টা করছে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মটির নাম ‘টোকে ম্যাচ’। জাপানের মধ্যাঞ্চলের ওসাকা শহরভিত্তিক প্ল্যাটফর্মটি মালিকদের কাছ থেকে রোলেক্স, ওমেগাস, ট্যাগ হিউয়ার্সসহ নামীদামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি নিত। পরে তারা এসব ঘড়ি নিজেদের গ্রাহকদের কাছে ভাড়া দিত। প্রয়োজন শেষে গ্রাহকেরা ঘড়ি আবার ফেরত দিতেন। গ্রাহকের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের ভাগসহ ঘড়ি প্রকৃত মালিকদের ফেরত দিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নিও রিভার্স। তারা গত ৩১ জানুয়ারি প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় দেয়। তবে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের হাতে থাকা সব ঘড়ি মালিকদের ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
জাপানের সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ওসাকা, টোকিওসহ ১৩টি এলাকার পুলিশ ১৯০ জন ঘড়ি মালিকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছে।
অভিযোগকারীরা বলেছেন, তারা নিজেদের ঘড়ি ফেরত পাননি। এসব অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ।
কিছু ঘড়ি অনলাইনে পুরোনো জিনিসপত্র বিক্রির ওয়েবসাইটে দেখা গেছে। এমনই একটি সাইট ‘ভ্যালুয়েন্স’। তারা জানিয়েছে, অন্তত ২০টি ঘড়ির ক্রমিক নম্বরের সঙ্গে টোকে ম্যাচের ঘড়ির নম্বরের মিল পাওয়া গেছে।
টোকে ম্যাচের মালিক তাকাজুমি কোমিনাতো (৪২)। তাকে খুঁজছে পুলিশ।
জাপানের জিজি প্রেস জানিয়েছে, একটি রোলেক্স ঘড়ি আত্মসাতের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকাজুমিকে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা হাতে পেয়েছে টোকিও পুলিশ।
জিজি প্রেসের খবরে আরও বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে তাকাজুমি পালিয়ে দুবাই গেছেন।
সূত্র: ডয়চে ভেলে