কিউবাতে মানবপাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চক্রটি কিউবার যুবকদের ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করার জন্য প্রলুব্ধ করছিল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
এর আগে, সপ্তাতের শুরুতে কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, কিউবা ও রাশিয়াভিত্তিক নেটওয়ার্ক যারা কিউবানদের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিতে সহায়তা করছে, তাদের ভেঙে দেওয়ার জন্য কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার(৭ সেপ্টেম্বর) এক টিভি অনুষ্ঠানে কিউবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্নেল সিজার রদ্রিগেজ বলেন, “তদন্তের পর এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই কার্যকলাপের অভ্যন্তরীণ সংগঠককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
রদ্রিগেজ অভিযুক্তদের কারও নাম উল্লেখ করেননি। তিনি জানান, দলটির নেতা দ্বীপরাষ্ট্রটিতে বসবাস করা দুই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করতেন। তারা ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে অর্থের বিনিময়ে লড়াইয়ের জন্য কিউবানদের নিয়োগ দিতেন।
দেশটির প্রসিকিউটর হোসে লুইজ রেয়েস বলেন, অপরাধের তীব্রতা ও ধরনের ওপর নির্ভর করে এ ঘটনায় জড়িতদের ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
কিউবার সঙ্গে রাশিয়ার দৃঢ় রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। অর্থনৈতিক স্থবিরতা থেকে বাঁচতে কিউবানদের জন্য রাশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছর একটি ডিক্রি স্বাক্ষর করেছিলেন। যাতে বলা হয় রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে যোগদান করা বিদেশিরা দ্রুত নাগরিকত্ব পাবেন।
কিউবা জানিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। তারা তাদের জনগণকে ভাড়াটে সেনা হিসেবে ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানায়।