• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এমপি আনার হত্যার ঘটনা যেভাবে দেখছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
এমপি আনার হত্যার ঘটনা যেভাবে দেখছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি
এমপি আনার। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউন এলাকায় অভিজাত ভবন সঞ্জীবা গার্ডেনসে। বাংলাদেশি কোনো সংসদ সদস্যের ভিন দেশে গিয়ে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার ঘটনা দুই দেশেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। মরদেহ উদ্ধারে দুই দেশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদেরই গলদঘর্ম অবস্থা।

বিশেষ করে ভারতের মাটিতে এমপি আনার খুন হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি এই তদন্তকে ‘হাইপ্রোফাইল’ হিসেবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) বা ‘সিট’ গঠন করেছে। ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করতেই সাধারণত ‘সিট’ গঠন করা হয়।

এমপি আনার হত্যা মামলা হাতে নেওয়ার ৯ দিনের মাথায় সিআইডির এই বিশেষ টিম গঠন করার পর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একজন আইজিকে। যার সঙ্গে রয়েছেন আরও ১২ জন অভিজ্ঞ গোয়েন্দা। আপাতত ১৩ জনের গোয়েন্দা দল বা এসআইটিই তদন্ত করবে আনার হত্যাকাণ্ডের। এসআইটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। খবর দৈনিক বাংলা।

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির সূত্রমতে, এমপি আনার খুনে অন্যতম অভিযুক্ত সিয়াম মরদেহ গুম করে নেপালে আত্মগোপন করেছেন। যার বিষয়ে কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়া কসাই জিহাদও দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। নেপালে পালিয়ে যাওয়া সিয়ামের গতিবিধিও নজরদারি করা হচ্ছে। সিআইডি ছাড়াও সেখানে কাজ করছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ)। পাশাপাশি কাজ করছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাও।

এছাড়াও নেপালে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে বা বাংলাদেশে আনা হবে সে বিষয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল- ত্রিদেশীয় কূটনীতিকদের মধ্যে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

এদিকে, গত ২৮ মে উদ্ধার হওয়া মাংসপিণ্ডের ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে এসে পৌঁছেছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা সূত্রগুলো। খুন হওয়া আনারের মেয়ে ডরিন ও এমপির ব্যক্তিগত সহকারীকে কলকাতায় যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে ভিসা না পাওয়ায় এখনও তারা যেতে পারেননি।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!