সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি হওয়া ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছাড়িয়ে আনা হয়েছে মুক্তিপণ্য দিয়ে। তবে কত মুক্তিপণ দেয়া হয়েছে সে তথ্য জানা যাচ্ছিল না। এর মধ্যেই জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তি দিয়ে তীরে পৌঁছেই গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৮ জন জলদস্যু। এবার জানা গেল জাহাজ ছাড়িয়ে আনতে কত অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।
দুজন জলদস্যু জানিয়েছেন মুক্তিপণ হিসেবে তারা ৫০ লাখ ডলার নিয়েছেন। জলদস্যুদের একজন আবদিরশিদ ইউসুফ। তিনি জানিয়েছেন বলেছেন, ‘দুই রাত আগেই আমাদের কাছে ডলার আনা হয়...। আমরা যাচাই করে দেখেছি, ডলারগুলো আসল না জাল। তারপর আমরা ডলারগুলো কয়েকটি দলের মধ্যে ভাগ করে সরকারি বাহিনীকে এড়িয়ে জাহাজ ত্যাগ করি।’
সব নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন আবদিরশিদ ইউসুফ। বিভিন্ন সূত্র ও গণমাধ্যম থেকে মুক্তিপণের অংকের তথ্য জানা গেলেও সোমালিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সাড়া দেননি।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে জলদস্যুরা। ছিনতাইয়ের এলাকাটি ছিল সোমালিয়ার রাজধানী থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে। ঘটনার ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মালিকপক্ষের কাছে মুক্তিপণের দাবি জানায়। এরপর শুরু হয় দর-কষাকষি। দীর্ঘ ৩২ দিন পর শনিবার ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা।
মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়।