• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা, আলোচনা শুরু আজ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৪, ০৮:২৩ এএম
গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা, আলোচনা শুরু আজ
ফাইল ছবি

পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি এ আশার কথা শুনিয়েছেন।

রোববার (৩ মার্চ) মিসরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা আবার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

শনিবার মিসরের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি গণমাধ্যম আল-আরাবিয়া।

নিরাপত্তা সূত্রটি বলছে, উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতির সময়সীমার পাশাপাশি জিম্মি ও বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক জোট আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে তুরস্কে গেছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি। সেখানে গত শুক্রবার এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি যে এই যুদ্ধের সব পক্ষ, অর্থাৎ আমরা সবাই ইতিমধ্যে সমঝোতার একটি পয়েন্টে পৌঁছাতে পেরেছি। আশা করছি, রমজানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি হস্তান্তর শুরু হবে।’

সামেহ শৌকরি জানান, প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে ১০ কিংবা ১১ মার্চ। এ সময়েই রমজানের শুরু হতে পারে। এই যুদ্ধবিরতি হলে ৪০ দিনের জন্য গাজায় অভিযান বন্ধ রাখবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং সেখানে প্রতিদিন প্রবেশ করবে ত্রাণ ও খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাক। সেই সঙ্গে প্রতি ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আশা করছে রমজানের আগে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। গতকাল ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। শনিবার আনতালিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরামে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, রমজানের আগেই যুদ্ধবিরতি অর্জন করতে সক্ষম হব, আমরা গতকাল এবং আজ এটি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি। তবে আমরা আশাবাদী।’

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মালিকি।

একই আশাবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। গত শুক্রবার তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি মুসলিমদের পবিত্র মাসের শুরুতেই গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হবে ইসরায়েল। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে আমরা ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি।”

চার মাসের বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০ হাজার। এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

আল জাজিরা জানিয়েছে, গতকাল গাজার দেইর এল-বালাহ এবং জাবালিয়া এলাকায় তিনটি বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছে।

এর আগে খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গত বৃহস্পতিবার হামলার ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে জাতিসংঘের একটি দল। তারা জানিয়েছেন, হামলায় আহত অনেককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।

Link copied!