মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার রাজধানী গুয়েতামালা সিটিতে একটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার পর অন্তত ছয়জন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। খবর আল-জাজিরার
গুয়াতেমালার ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন ফর ডিজাস্টার রিডাকশন এজেন্সির (কনরেড) তথ্য অনুসারে, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নারাঞ্জো নদীর জল গুয়াতেমালা সিটির দিওস এস ফিয়েল বা ঈশ্বর বিশ্বস্ত নামক একটি বস্তি এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে একটি সেতুর নিচে থাকা অন্তত ছয়টি বাড়ি ভেসে যায়।
অনুসন্ধান কুকুরের সহায়তায় উদ্ধারকারী দল বন্যায় মারা যাওয়া ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। যার মধ্যে একটি পাঁচ বছর বয়সী শিশু ছিল। তাকে আংশিকভাবে কাদায় চাপা পড়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ থাকা ১২ জনের মধ্যে আনুমানিক আট শিশু রয়েছে।
প্রবল বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বসতির মধ্য দিয়ে পাথর, মাটি ও বর্জ্য নিয়ে প্রবাহিত হয়। বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্থানীয় বাসিন্দা এসাউ গঞ্জালেজ (৪২) বলেন, “নদী… ঘরবাড়ি, প্রতিবেশীদের জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। প্রতিবেশীরা নিখোঁজ হয়ে গেছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা এএফপিকে জানিয়েছেন, অনিশ্চিত জায়গায় বসবাস করা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। হাজার হাজার গুয়াতেমালান একই রকম বস্তিতে বাস করে।
মারভিন ক্যাব্রেরা (৩৬) একজন খাদ্য ডেলিভারি কর্মী। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বসবাস করা এই ব্যক্তি বলেন, “আমরা ঝুঁকি জানতাম, (কিন্তু) আমরা এখানে প্রয়োজন বলেই এসেছি।”
গুয়াতেমালার দারিদ্র্যের হার ৫৯ শতাংশ। দেশটির চেম্বার অফ কনস্ট্রাকশন ও আনাকোভি বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, সেখানে প্রায় ২০ লাখ ইউনিট আবাসন ঘাটতি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্প আয়ের বাসিন্দাদের জন্য আবাসনের অভাব অনানুষ্ঠানিক বসতি নির্মাণে ভূমিকা রাখছে, যা প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নির্মাণ করা হয়।