রাশিয়ার অর্থোডক্স গির্জার প্রধান কিরিলকে যুদ্ধের উসকানিদাতা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিরিল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাকে ইউক্রেনে রুশ হামলার সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
যুদ্ধের উসকানিদাতা হিসেবে কিরিলকে তালিকাভুক্ত করা হলেও ইউক্রেনের এ পদক্ষেপকে একেবারে প্রতীকী বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া তিনি বর্তমানে রাশিয়ায় আছেন এবং তিনি গ্রেপ্তারের হুমকিতে নেই। রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলা যাজকদের প্রভাব নির্মূল করতে ইউক্রেন সর্বশেষ এ পদক্ষেপটি গ্রহণ করে।
ইউক্রেনের মন্ত্রণালয়ের তালিকায় কিরিল বিচার-পূর্ববর্তী তদন্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লুকিয়ে আছেন। গত ১১ নভেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তালিকায় প্রকাশিত ছবিতে তাকে যাজকের পোশাকে দেখা যায়। রুশ গির্জার সঙ্গে পূর্বে সরাসরি যুক্ত ছিল এমন অর্থোডক্স গির্জার একটি শাখা এবং কিরিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে কিয়েভ।
এমনকি গির্জার ওই শাখাটিকে নিষিদ্ধ করতে কিয়েভে একটি বিল পাসের কথা ভাবা হচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর গির্জাটি অনেক ধর্মযাজককে হারিয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে মস্কোর সঙ্গে তারা সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে জানিয়েছে গির্জা কর্তৃপক্ষ।
নভেম্বর মাসে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর এক নথিতে কিরিল তার ধর্মীয় পরিচিতির মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করছেন বলে উল্লেখ করা হয়। মস্কোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গির্জাটির ধর্মগুরু এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছে।
কিরিল এসব পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে গির্জার ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের এ পদক্ষেপ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।