ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। শনিবার (১২ আগস্ট) এ দাবানলে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৯ জন। পুড়ে ছাই হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি। একশ বছরের মধ্যে এত বড় বিপর্যয় দেখেনি এ রাজ্যটি।
বিবিসি জানিয়েছে, অঙ্গরাজ্যটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
হাওয়াইয়ের গভর্নর জস গ্রিন বলেন, এটাই সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলা করা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দাবানল। দাবানলে এখন পর্যন্ত ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনো দ্বীপটিতে অসংখ্য মানুষ যোগাযোগবিহীন অবস্থায় আছেন।
ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এফইএমএ) জানিয়েছে, দাবানলে ২ হাজার ২০০টিরও বেশি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ১০০ একর এলাকা পুড়ে গেছে।
প্যাসিফিক ডিজাস্টার সেন্টার (পিডিসি) এবং এফইএমএ অনুযায়ী দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত মাউই দ্বীপের লাহাইনা পুননির্মাণে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।
হাওয়াইয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অঙ্গরাজ্যটির জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। মূলত, দাবানলের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বীপবাসীকে দ্রুত সতর্ক করেছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণে এই পর্যালোচনার ঘোষণা এলো।
এ ছাড়া হাওয়াইয়ের অ্যাটর্নি জেনারেল এন লোপেজ কর্তৃপক্ষ কীভাবে দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তা পর্যালোচনা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিবিসি আরও জানা, হাওয়াইয়ের দাবানলে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার প্যারাডাইস শহরের দাবানলে মৃতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেই দাবানলে ৮৫ জন মারা গিয়েছিলো। এর আগে ১৯১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা এবং উইসকনসিন্সে ক্লোকেট ফায়ারে ৪৫৩ জন মারা যান।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ভয়াবহ এই দাবানলের সূত্রপাত হয়। হারিকেন ডোরার প্রভাবে তৈরি হওয়া প্রচণ্ড বাতাসে দাবানলটি দ্রুতই দ্বীপটিতে ছড়িয়ে পড়ে।