• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

হজযাত্রীদের কঠোর সতর্কবার্তা সৌদি আরবের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
হজযাত্রীদের কঠোর সতর্কবার্তা সৌদি আরবের

অনুমতি ছাড়া আসন্ন হজ মৌসুমে হজ পালন থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। এ নির্দেশনা না মানলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানানো হয়েছে। অননুমোদিত হজযাত্রীদের পাশাপাশি তাদের সহায়তাকারীরাও এই শাস্তির আওতায় পড়বেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের তথ্যমতে, সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজের অনুমতি ছাড়া এতে অংশগ্রহণকারীদের এবং যারা এমন কাজকে সহায়তা করেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে। এই বিধিনিষেধ জিলক্বদ মাসের প্রথম দিন থেকে জিলহজ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে; অর্থাৎ হজ মৌসুমের পুরো সময়জুড়ে এটি প্রযোজ্য থাকবে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেউ অনুমতি ছাড়া হজ করার চেষ্টা করলে বা হজ করলে তাকে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ টাকা) জরিমানা গুনতে হবে। এই জরিমানা সব ধরনের ভিজিট ভিসাধারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য; যদি তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুমতি ছাড়া মক্কা বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ করেন বা অবস্থান করেন, তবে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

অন্যদিকে, যারা এই নিয়ম ভাঙায় সহায়তা করবেন তাদের জন্য শাস্তি হবে আরও কঠোর। কেউ যদি এমন কাউকে স্পন্সর করেন যিনি হজের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন, তাহলে তাকে এক লাখ রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।

যারা অবৈধ হজযাত্রীদের মক্কা বা পবিত্র এলাকায় নিয়ে যাবেন, আশ্রয় দেবেন বা আবাসনের ব্যবস্থা করবেন, হোটেল, ভাড়া বাড়ি বা হজের জন্য নির্ধারিত আবাসন ব্যবস্থায় থাকতে দেবেন, তাদের ওপর এই জরিমানা প্রযোজ্য হবে।

এ ছাড়া যদি কোনো অবৈধ অভিবাসী বা ভিসার সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়া ব্যক্তি হজে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে তাদের সৌদি আরব থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং পরবর্তী ১০ বছর সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন না তারা।

পাশাপাশি যেসব যানবাহন এই ধরনের অননুমোদিত যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হবে, সেগুলো জব্দ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। যদি সেগুলো পরিবহনকারী বা সহায়তাকারীর মালিকানাধীন হয়।

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো হজের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করা।

এ ছাড়া হজ সংক্রান্ত নিয়মনীতি পুরোপুরি মেনে চলতে নাগরিক, অভিবাসী এবং বৈধ ভিসাধারীদেরও অনুরোধ করেছে সৌদি সরকার।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!