ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি থাকাদের মধ্যে দুই নারী মুক্তি পেয়েছে। তারা হলেন মার্কিন নাগরিক জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানান। হামাসের হাতে জিম্মি থাকাদের মধ্যে এই দুই নারীই প্রথম মুক্তি পেলেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মুক্তি পাওয়ার পর জুডিথ রানান ও নাতালি রানান ইসরায়েলে পৌঁছেছেন।
এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানান হামাসের হাতে বন্দি ছিলেন। নাতালির বয়স ১৭, সবেমাত্র হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। তিনি ইসরায়েলে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। আর তার মা জুডিথ একজন শিল্পী এবং শিকাগো এলাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতেন। মায়ের ৮৫তম জন্মদিন উদযাপন করতে তারা একসঙ্গে ইসরায়েলে ছিলেন।
দুই জিম্মির মুক্তি নিশ্চিতে কাতার ও ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, “সব পক্ষের সঙ্গে অনেক দিনের লাগাতার যোগাযোগের পর এই দুই জিম্মির মুক্তি মিলেছে। সব দেশের সব বেসামরিক জিম্মির মুক্তিতে আলোচনা মুখ্য ভূমিকা রাখবে।”
দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তিতে রেডক্রসও তাদের ভূমিকার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে রেডক্রস জানায়, জিম্মিদের গাজা থেকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তাদের মুক্তি সহজতর করতে সাহায্য করেছে তারা।
এদিকে, দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়াকে শুভেচ্ছার নিদর্শন বলে উল্লেখ করেছেন হামাস নেতা গাজী হামাদ। বন্দীদের মধ্যে যারা ইসরায়েলি নন, তাদের ‘অতিথি’ হিসেবে সম্বোধন করেছিল হামাস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিল সংগঠনটি।
হামাসের হামলার জবাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ১৪ দিন ধরে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে।
শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “এখন পর্যন্ত গাজায় ৪ হাজার ১৩৭ জন মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে এক হাজার ৬৬১টি শিশু রয়েছে। এ ছাড়া ১৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।”