• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে মিসরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩, ১১:০১ পিএম
গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে মিসরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (বাঁয়ে), মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি (মাঝে) এবং হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া। ফাইল ছবি

মিসরের দেওয়া একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে)।

মিসরের ওই প্রস্তাবে ছিল স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসকে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ করতে হবে।

মিসরীয় সূত্রে জানা গেছে, হামাস ও ইসলাসিক জিহাদ জানিয়ে দিয়েছে যে তারা বন্দীদের বিষয় ছাড়া আর অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাজি নয়।

সম্প্রতি কায়রো সফরকারী হামাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “আমাদের জনগণ ইসরায়েলি আগ্রাসন, গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞের অবসান চায়। আমরা সেটা নিয়ে আমাদের মিসরীয় ভাইদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।”

তিনি বলেন,  “আমরা আরও বলেছি আমাদের দুর্গত লোকজনকে সহায়তা বাড়াতে হবে এবং তা অব্যাহত রাখতে হবে। উত্তর ও দক্ষিণের সব মানুষের কাছে তা পৌঁছাতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আগ্রাসন বন্ধ হলে এবং সাহায্য বাড়লে আমরা তখন বন্দী বিনিময় করার জন্য প্রস্তুত হবো।”

কাতারের সমর্থন করা মিসরীয় পরিকল্পনার প্রথম ধাপে দুই সপ্তাহের (তা তিন বা চার সপ্তাহ বাড়তে পারে) যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। এ সময়ে যুদ্ধবিরতি থাকবে এবং গাজায় সাহায্য প্রবেশ করবে।

মিসরের ওই প্রস্তাবে দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘ফিলিস্তিনি জাতীয় সংলাপের’ কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে ফাতাহর প্রাধান্যপূর্ণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং হামাসের মধ্যে আলোচনা হবে। এর মাধ্যমে পশ্চিম তীর ও গাজায় একটি টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন করার চেষ্টা হবে। এই সরকারই গাজার পুনর্গঠন তদারকি করবে, ফিলিস্তিনি পার্লামেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করবে।

মিসরীয় প্রস্তাবের তৃতীয় ধাপে একটি ব্যাপকভিত্তিক যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। এ সময় সৈন্যসহ বাকি ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে আটক নির্দিষ্ট সংখ্যক হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গ্রুপেরসহ নিরাপত্তা বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। সম্ভাব্য মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে মারাত্মক অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এবং ৭ অক্টোবরের পর আটক ব্যক্তিরাও থাকবে। এই পর্যায়ে ইসরাইল গাজা উপত্যকা থেকে তার বাহিনী সরিয়ে নেবে এবং বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীদের তাদের বাড়িতে ফিরতে দেবে।

এদিকে শনিবার হামাসের পলিটব্যুরো নেতা ইসমাইল হানিয়া কাতারে তার আবাসস্থলে ফিরে গেছেন। আর রোববার মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কায়রো গেছেন গাজার ইসলামিক জিহাদের একটি প্রতিনিধিদল।

অপরদিকে, রোববার রাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত গাজায় হামলা থামানো হবে না বলে ফের ঘোষণা করেছেন। তিনি গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের তিনটি লক্ষ্যের কথা জানান। এগুলো হচ্ছে হামাসকে ধ্বংস করা, গাজার ক্ষমতা থেকে হামাসকে উৎখাত করা এবং পণবন্দীদের মুক্ত করা।

তবে নেতানিয়াহু বেশ চাপে আছেন। রোববারও তেল আবিবে গাজায় আটক ইসরায়েলি সব বন্দীর মুক্তির জন্য চুক্তি করতে হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করেছে।

সূত্র-টাইমস অব ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!