গাজা উপত্যকায় আটক বাকি ইসরায়েলি বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে এ উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের এবং হামাসের প্রতিরোধকামী সদস্যদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৫ মার্চ) মুক্তিপ্রাপ্ত ৮ বন্দির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে দেখা করার পর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এ সতর্কীকরণ বার্তা জারি করেন ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টর এই লাস্ট ওয়ার্নিংয়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা জানিয়েছে, ট্রাম্পের এমন হুমকি গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি থেকে সরে যেতে নেতানিয়াহুকে উৎসাহিত করছে।
হামাস বলেছে, বারবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ধরনের হুমকি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজা যুদ্ধবিরতি থেকে সরে আসতে এবং গাজাবাসীদের ওপর ইসরায়েলি অবরোধ আরও তীব্র করতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা ও পার্সটুডে।
হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া বলেন, “অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো দখলদার ইসরায়েলকে দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতিকে এগিয়ে নেওয়া এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির আইন মেনে চলা।
এর আগে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “এটা আপনাদের জন্য শেষ সতর্কবার্তা! হামাস নেতাদের এখনই গাজা ছেড়ে চলে যেতে হবে। আপনাদের এখনো সুযোগ আছে।”
গাজাবাসীর উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “গাজার জনগণের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। কিন্তু যদি তোমরা জিম্মিদের আটকে রাখো, তাহলে ভালো হবে না। যদি তোমরা সেটা করো, তাহলে তোমরা সব মারা যাবে। বুদ্ধি খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নাও।”