ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বা ওয়ার ক্যাবিনেট বন্দী বিনিময় চুক্তি অনুমোদন করেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে দেশটির মন্ত্রিসভায় এ প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানায় দ্য টাইমস অব ইসরায়েলসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, আগামী চার দিনের মধ্যে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রতিদিন এক ডজন করে জিম্মি মুক্তি পাবেন।
চুক্তি অনুযায়ী, কয়েক দিন ধরে জিম্মিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রত্যেক দিন ১০ জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে। একই সূত্র বলেছে, চুক্তিতে চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য স্থলভাগে ‘সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
চ্যানেল-১২ বলেছে, বহুল প্রত্যাশিত চুক্তিতে ইসরায়েলে প্রায় ১৫০ থেকে ৩০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তির শর্ত রয়েছে। আর মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মধ্যে নারী ও শিশুরা থাকবে।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি ১০০ থেকে ৩০০ ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। আগামী বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে চ্যানেল ১২। প্রাথমিকভাবে ৫০ জিম্মির মুক্তি দেওয়া হবে। যা আরও বাড়তে পারে।
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ইসরায়েলের দুটি সূত্রের বরাতে জানায়, এ চুক্তির আওতায় মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দীদের তালিকা করছে হামাস ও ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির জন্য বিষয়টি প্রথমে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করতে হবে। সেখানে অনুমোদনের পর বিষয়টি ইসরায়েলের পূর্ণ মন্ত্রিসভার অনুমোদন দরকার হবে। তবে এসব প্রক্রিয়া টেলিফোনের মাধ্যমে খুবই দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হবে।
গত ৭ অক্টোবর সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গাজার ক্ষমতাসীন সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। ওই দিন স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইসরায়েলে ঢুকে শত শত ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৪০ জনের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে হামাস। এই হামলার পর গাজায় তীব্র আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।