ইসরায়েলের দক্ষিণের শহর আশকেলন থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার মধ্যে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছিল হামাস। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ওই সময়সীমা পার হওয়ার পর আশকেলন শহরে হামলা চালিয়েছে হামাস। শহরটিতে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপেও পোস্ট করেছে যে আশকেলনে সাইরেন বাজছে।
এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাসের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সূর্যের আলো পুরোপুরি ফোটার আগেই ৩ হাজারেরও বেশি রকেট ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে।
কাছাকাছি সময়ে হ্যাং গ্লাইডার ও মোটরচালিত গ্লাইডারে চেপে হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের কার্যালয়ে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বন্দি ও জিম্মি করার পাশাপাশি ওই কমান্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড ও অন্যান্য শাখার কার্যালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একই সঙ্গে মোটরসাইকেল ও জিপে করে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন আরও কয়েক শ’ হামাস যোদ্ধা। এরপর শুরু হয় যুদ্ধ।
হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামাসের ইসরায়েলে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮ জনে। অপরদিকে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৮০০ জনেরও বেশি দাঁড়িয়েছে।