ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি না মানার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস। দ্বিতীয় দফায় বন্দী মুক্তির বিষয়টিকে স্থগিত রেখেছে তারা।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
কথা ছিল, শনিবার যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন গাজায় আরও ত্রাণবাহী ট্রাকবহর প্রবেশ করবে; পাশাপাশি ১৪ ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেবে হামাস, বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩৯ থেকে ৪২ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।
শনিবার হামাসের সামরিক কাসেম ব্রিগেড জানায়, উত্তর গাজায় ত্রাণ সরবরাহ ও ইসরায়েলি কারাগার থেকে যাদের মুক্তি দেওয়া কথা তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় চুক্তি লঙ্ঘন করেছে তারা। তাই বন্দীদের মুক্তি দিতেও দেরি করেছে হামাস।
হামাসের এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা চুক্তি লঙ্ঘন করেনি। সেই সঙ্গে হামাসকে নির্মূল করার হুমকি দেয় তারা। ফলে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে এসে চুক্তি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বিরোধ দেখা গিয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) চার দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। প্রথম দিন ১৩ জন ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও, হামাস তাদের সঙ্গে আরও ১১ জন বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয়। তারা জানায়, ‘সৌজন্যতাবোধ’ থেকেই তাদের মুক্তি দেয় তারা।
একই দিনে ইসরায়েল ৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। কারণ চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিজন বন্দীর বিনিময়ে তিনজনকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।