আলটিমেটামের নির্ধারিত সময়ের আগেই ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। যে কোনো সময় আসতে পারে ঘোষণা। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল-কুদস শনিবার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছেন হামাসের নেতারা। সৌদির সংবাদমাধ্যম আশফাকও একই তথ্য জানিয়েছে এক প্রতিবেদেন। বলা হয়েছে, জিম্মি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে দুই পক্ষ। হামাস এ ব্যাপারে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা দেবে।
আল-কুদস ও আশফাক ছাড়াও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির তৃতীয় ধাপ শেষে গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে।
তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান নিউজ জানিয়েছে, আরব সংবাদমাধ্যমগুলোতে যুদ্ধবিরতি এবং সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে- এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
এর আগে শুক্রবার (৩ মে) প্রকাশিত মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি হস্তান্তরে ইসরায়েলের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসরায়েল। প্রস্তাবে রাজি না হলে রাফাহতে হামলা হতে পারে। এমন হুমকি দিয়ে রেখেছিল দেশটি।
এদিকে, হামাসের এক কর্মকর্তার বক্তব্য তুলে ধরে সংবাদমাধ্যম আল-কুদস জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়েছে হামাস নেতারা। ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে শুধুমাত্র নারী, বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের ছাড়া হবে। তাদের ছাড়ার পরও বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা তাদের কাছে থেকে যাবে। এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে সুবিধা আদায় করে নেবেন তারা।