আড়াই বছরের শাসনকালে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। দেশটির অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চল এখন বিদ্রোহী দলীয় জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’র নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।
জান্তা সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একজোট হয়ে ’ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ গড়ে তুলেছে। তবে জান্তা সরকারের প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি যে খুব একটা অনুকূলে নয়, তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের (এসএসি) প্রেসিডেন্ট মিয়ে সুয়ে কিছুদিন আগে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “অশান্তির জেরে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালাচ্ছেন মায়ানমারের বহু নাগরিক। এভাবে অস্থিরতা তৈরি করা হলে দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।”
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল মিয়ানমার জান্তারা। আড়াই বছর ধরে শাসনে থাকা সেনা সরকার এই প্রথম এতো বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে জোটটি মিয়ানমারের কেন্দ্রস্থল, বিশেষত মান্দালয়ের উত্তরে সংঘর্ষ শুরু করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’র সাফল্যগুলোর কারণে যদি মিয়ানমার বিরোধীরা বিদ্রোহী বাহিনীতে যোগ দেয়, তাহলে সামরিক সরকারের জন্য একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাণিজ্যিক কারণে জান্তা সরকারের পাশে রয়েছে চীন প্রশাসন। কিন্তু জোটটির এ তৎপরতা বেইজিংয়ের সমর্থন ছাড়াও সম্ভব নয়।