ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ ঘটনার পরপরই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেল প্রতি ৭৯ দশমিক ২৫ ডলার হয়েছে। অন্যদিকে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৭৩ দশমিক ৮৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর তেলের যেভাবে দাম বেড়েছিল, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে।
হুতিরা যদি লোহিত সাগরে জাহাজগুলোকে আরও বেশি টার্গেট করে তাহলে কার্গো চলাচলে যে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে, তাতে জ্বালানির বাজারে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাজ্য সরকার।
৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় একের পর এক হামলা চালিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষকে হত্যার প্রতিবাদে সুয়েজ খালের দক্ষিণ অংশ দিয়ে যাতায়াত করা বাণিজ্যিক জাহাজকে টার্গেট করে হামলা চালাতে শুরু করে হুতি বিদ্রোহীরা। এ অবস্থায় লোহিত সাগরে নিরাপত্তা জোরদার করে যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো। সর্বশেষ শুক্রবার ভোরে ইয়েমেনে হুতিদের অবস্থান টার্গেট করে বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেছেন, গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে ইরান সমর্থিত হুতিদের হামলার জবাব দিতেই ইয়েমেনে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিবৃতি দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যের রয়্যাল এয়ারফোর্সের যুদ্ধবিমানগুলো ইয়েমেনে ‘সুনির্দিষ্ট টার্গেটে হামলা’ চালাতে সহায়তা করেছে। এই হামলাকে সীমিত, প্রয়োজনীয় ও আত্মরক্ষামূলক যথাযথ মাত্রার পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন সুনাক।
খবরে জানা যায়, ইয়েমেনে হামলার জেরে নতুন করে তেলের দাম বাড়লেও গত সোমবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ৩ শতাংশেরও বেশি কমেছিল। সেসময় মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগরে উত্তেজনার কারণে তেলের সরবরাহে সংকটের আশঙ্কা করা হলেও শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব দাম কমিয়েছিল। পাশাপাশি উৎপাদন বাড়িয়েছিল ওপেক-ভুক্ত তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো।