ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বনসকাঁথা জেলার পালানপুরে নিজ ঘর থেকে রাধা ঠাকোর (২৭) নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ঘরে থাকা মোবাইলে রেকর্ডকৃত একটি অডিও বার্তা পাওয়া যায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত রাধা ঠাকোর একটি বিউটি পার্লার চালাতেন। কয়েক বছর আগে তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে বোনের পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। তার কোনো প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবারের লোকজনের জানা ছিল না, পুলিশের কাছে তেমনটাই দাবি করেছেন রাধার বোন।
আত্মহত্যার ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন। অভিযোগপত্রে মৃতের বোন জানিয়েছেন, গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে পার্লার থেকে বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে ঘুমোতে গিয়েছিলেন রাধা। পরের দিন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির লোকজনই পরে তার ফোন ঘাঁটেন। সেখানে রেকর্ড করে রাখা অডিও বার্তা পান তারা। সেগুলো পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তারা।
অবশ্য কার উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলে গিয়েছেন তা জানেন না তার পরিবারের লোকজন। অচেনা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই তার বোন থানায় অভিযোগ করেছেন।
এনডিটিভি বলছে, পুলিশ ওই তরুণীর আত্মহত্যার কারণ এবং কেন তিনি তার অডিও-ভিডিওগুলোতে ক্ষমা চেয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করছে। তার শেষ রেকর্ড করা কথোপকথনে রাধাকে লোকটির কাছে একটি ছবি চাইতে শোনা যায়। তার পরিবার বলেছে, তিনি লোকটির কাছে একটি ছবি চেয়েছিলেন, কিন্তু সে তা পাঠাচ্ছিল না। রেকর্ড করা কলে তাকে বলতে শোনা যায়, “দেখ, সাতটার মধ্যে ছবি না পেলে কী হয়।”
এদিকে মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা ভিডিওগুলোর একটিতে তিনি তার প্রেমিকের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। সেখানে তাকে বলতে শোনা গেছে, “আমাকে ক্ষমা করে দিও, তোমাকে না জিজ্ঞেস করেই আমি ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছি। দুঃখ করো না, ভালো থাকো, জীবন উপভোগ করো এবং বিয়ে করে নিও। ভাববেন না যে আমি আত্মহত্যা করে মারা গেছি। আমি হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তুমি ভালো থাকলে, আমার আত্মা শান্তি পাবে। আমি কাজ এবং জীবন নিয়ে বিরক্ত, তাই এই পদক্ষেপ নিচ্ছি।”