বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় পিটিয়ে প্রেমিকের হাত-পাসহ ১৩টি হার ভেঙে ফেলেছেন এক তরুণী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
গত ২৯ মার্চ ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর টানা ১৭ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ওই যুবক। ভুক্তভোগী ওই যুবকের নাম গুলশান।
পুলিশ জানিয়েছে, পাওনা সাড়ে ২১ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় গুলশানকে। সেখানে তাকে বিয়ের দাবি জানান ওই তরুণী। এসময় সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করলে ওই তরুণী এবং তার পরিবারের সদস্যরা গুলশানকে মারধর করেন।
গুলশান পুলিশকে বলেন, “আমি আমার টাকা ফেরত আনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে এত মারধর করা হয়েছে যে, জীবন বাঁচাতে আমাকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।”
তিনি জানান, ২০১৯ সালে ওই তরুণীর সঙ্গে তার সম্পর্ক শুরু হয়। ওই তরুণী তার মোবাইলের দোকানে আসতেন। সেখানেই পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গুলশান আরও জানান, তারা দুজনই বিবাহিত। তবে গুলশান তার স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকেন, আর ওই তরুণীও বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন।
এদিকে গুলশানের অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদাবাদ পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। মারধরের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।