অবশেষে গাজার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হতে যাচ্ছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন।
পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েল।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও শেষ সময়ে ইসরায়েল বেঁকে বসে। তাদের অভিযোগ, গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস শর্ত অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন যে তিনজন ইসরায়েলি নারী জিম্মিকে মুক্তি দেবে তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করেনি।
এরপর তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না বলে জানায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সে অনুযায়ী গাজায় হামলাও চালায় ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী। হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হন।
এদিকে হামাসের দাবি, কারিগরি ত্রুটির কারণে তারা সময় মতো ওই তিন নারী জিম্মির নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত তালিকা প্রকাশ করা হলে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন হামাসে যে তিন নারীকে জিম্মিকে মুক্তি দেবে, তারা হলেন, রোমি গনেন, ডোরন স্টেইনব্রেচার এবং এমিলি দামারি।
এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা নির্বিচারে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে ৪৬ হাজার ৮৯৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৭২৫ ফিলিস্তিনি।