জি-২০ এর ১৮তম শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তার সামনে থাকা দেশের নামের প্ল্যাকার্ডে ‘ভারত’ লেখা দেখা যায়। যার মাধ্যমে ভারত বনাম ইন্ডিয়া বিতর্কে শক্তিশালী বার্তা দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এক প্রতিবদেনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রতিনিধির সামনে তাদের দেশের নাম লেখা থাকে। তবে ভারতের নামের জায়গায় ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত লেখা ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বনেতাদের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষ থেকে দেওয়া আমন্ত্রণপত্রে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত ব্যবহার করা হয়। যা দেশটিতে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। এরপর নরেন্দ্র মোদিও তার পরিচয়ে ‘প্রাইম মিনিস্টার অব ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে ‘প্রাইম মিনিস্টিার অব ভারত’ ব্যবহার করেন। যার ফলে চলতি মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ইন্ডিয়া নাম পরিবর্তন করে ভারত নামকরণের জল্পনাকে উস্কে দেয়।
‘ভারত’ বিদেশী প্রতিনিধিদের জন্য তৈরি করা জি-২০ পুস্তিকাতেও ব্যবহার করা হয়েছে। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত, গণতন্ত্রের জননী’। পুস্তিকাটিতে বলা হয়, “ভারত দেশের সরকারি নাম। এটি সংবিধান ও ১৯৪৬-৪৮ সালের আলোচনায়ও উল্লেখ করা হয়েছে।”
এই ইস্যুতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে বিরোধীরা। নতুন গঠিত জোট ইন্ডিয়ার সদস্যরা অভিযোগ করেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার ‘ইতিহাস বিকৃত করছে এবং ভারতকে বিভক্ত করছে’।
পাল্টা জবাবে বিজেপি নেতারা বিরোধীদেরকে দেশবিরোধী ও সংবিধানবিরোধী বলে অভিযুক্ত করেন।
এর আগেও সরকারি নথিতে ভারত ব্যবহার করা হয়েছে। সম্প্রতি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও গ্রিস সফরের সময় নরেন্দ্র মোদি ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী’ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন।