অবরুদ্ধ গাজায় জ্বালানি পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে তা ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
সোমবার (২০ নভেম্বর) হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিবরি সাংবাদিকদের বলেন, “রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিসর থেকে ছয় ট্রাক জ্বালানি প্রবেশ করেছে। এতে প্রায় ১৮ হাজার গ্যালন জ্বালানি রয়েছে। এই জ্বালানি গাজার হাসপাতালগুলোর জেনারেটর সচল রাখতে সহায়তা করবে।”
সম্প্রতি ইসরায়েল জানায়, দেশটি গাজায় জ্বালানিবাহী ট্রাক প্রবেশের সুযোগ দেবে। তবে তা শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মানবিক কাজে ব্যবহার করা যাবে।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) জানায়, গাজায় তীব্র মানবিক সংকট সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। একদিকে সংঘাত কমছে না, অন্যদিকে জ্বালানির অভাব দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ত্রাণ এসেছে। সব মিলিয়ে কর্মীরা তাদের কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এছাড়া জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) সতর্ক করে জানায়, জ্বালানি সংকটের কারণে গাজায় তাদের কার্যক্রম প্রায় বন্ধের পথে।
জ্বালানি, পানি ও খাবারের জন্য ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে গাজাবাসীকে। তাদের বেঁধে দেওয়া সময়ে নির্ধারিত করিডর দিয়ে গাজায় খাবার, পানি ও ত্রাণ ঢোকে। তবে এত দিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেয়নি ইসরায়েল।