• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নাইজারে ফ্রান্সের সেনা বিরোধী বিক্ষোভ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ১০:২৬ এএম
নাইজারে ফ্রান্সের সেনা বিরোধী বিক্ষোভ
ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে লাখ লাখ জান্তা সরকার সমর্থক বিক্ষোভ করেছে। তাদের দাবি ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ও ফরাসি সেনাদের অবলিম্বে নাইজার ছাড়তে হবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজারের বেশ কয়েকটি নাগরিক সংগঠনের আহ্বানে বিক্ষোভকারীরা শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) নিয়ামিতে অবস্থিত ফ্রান্সের একটি সামরিক ঘাঁটির সামনে জড়ো হয়। তারা হাতে ধরা ব্যানারের মাধ্যমে ঘোষণা করে, “ফরাসি সেনাবাহিনী, আমাদের দেশ ছেড়ে যাও।”

গত জুলাইয়ে ক্ষমতা দখল করা নাইজারের সামরিক সরকার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর অভ্যুত্থান সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য সমালোচনা করেছে। ম্যাক্রো ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে সমর্থন করেন এবং দেশটির নতুন শাসকদের স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। 
গত সপ্তাহে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সিলভেইন ইত্তেকে নাইজারের সামরিক সরকার দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও নিয়ামিতে অবস্থান করছেন ইত্তে। এ বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

আল জাজিরার প্রতিবেদক আহমেদ ইদ্রিস নিয়ামি থেকে জানান, ফরাসি রাষ্ট্রদূত দেশত্যাগ না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন আন্দোলনকারীরা।

নিরাপত্তাকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার দিকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ১০টার দিকেই তারা জড়ো হতে শুরু করে। অন্যান্য দিনের চেয়ে এদিনের আন্দোলন কিছুটা শান্ত ছিল। তবে কেউ কেউ নিরাপত্তা বেষ্টনী উপেক্ষা করে বিমানঘাঁটির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। এই বিমান ঘাঁটিতে প্রায় দেড় হাজারের মতো ফরাসি সেনা রয়েছে। অবৈধভাবে ঘাঁটিতে প্রবেশের বিরুদ্ধে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল সেনারা।

এক বিক্ষোভকারী ডুবু-কামবু হামিদু গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা আমাদের দেশ থেকে সব সামরিক ঘাঁটি অপসারণের জন্য লড়াই করতে চাই। কারণ ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে সন্ত্রাসবাদ চলছে। কিন্তু তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় না।”

গত ২৬ জুলাই অভ্যুত্থানে নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। 

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!