আফ্রিকার দেশ নাইজারের সামরিক সরকার দেশটির ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে মালি ও বুরকিনা ফাসোর সেনাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট দ্য ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকা (ইকোওয়াস) নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপ করার হুমকি দেওয়ার প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার।
অপর দিকে নাইজারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ পেয়েও অংশ না নেওয়ার অভিযোগে ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভেইন ইত্তেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাইজার ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইত্তেকে শুক্রবারে পাঠানো এক চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ফরাসি সরকারের কাজ নাইজারের স্বার্থবিরোধী। এটি ছিল তাকে বহিষ্কারের অন্যতম কারণ।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে শুক্রবার বলেছে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের তাদের রাষ্ট্রদূতকে নিয়ামে ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। রাষ্ট্রদূতের অনুমোদন একমাত্র নির্বাচিত নাইজার সরকার দিতে পারে বলেও জানায় তারা।
গত মাসের সামরিক অভ্যুত্থানের আগে সাবেক ফরাসি উপনিবেশ নাইজার ফ্রান্সের সহযোগী ছিল। কিন্তু সামরিক শাসক ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে ফ্রান্সবিরোধী মনোভাব প্রবল হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন সামরিক শাসকদের সমালোচনা করে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের মুক্তি দাবি করেন।
অন্যদিকে নাইজারের সামরিক নেতা জেনারেল আবদ্রাহমানে চিয়ানি দুটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। যার মাধ্যমে বুরকিনা ফাসো ও মালির নিরাপত্তা বাহিনীকে নাইজার ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে অবরুদ্ধ করে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখা প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের সদস্যরা। এ অভ্যুত্থানকে সমর্থন জানিয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ বুরকিনা ফাসো ও মালি।