নাইজেরিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের গাড়িবহরে বন্দুক হামলার ঘটনায় দূতাবাসের দুই কর্মী এবং অন্য দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামলাকারীরা দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনকে অপহরণও করেছে। যদিও নিহতদের কেউই মার্কিন নাগরিক নন। পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় একটি প্রধান সড়কের পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা তিন ব্যক্তিকে অপহরণ করে। অপহৃত তিনজনের মধ্যে একজন ড্রাইভার এবং অন্য দুজন পুলিশ কর্মকর্তা।
আনামব্রা পুলিশ জানিয়েছে, তাদের ধারণা দেশটিতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার অংশ এটি। তারা হামলার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছেন।
আনামব্রা প্রদেশের ইকেঙ্গা তোচুকউ নামে পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, অপহৃতদের সন্ধান ও উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, “দুর্বৃত্তরা পুলিশ মোবাইল ফোর্সের দুজন সদস্য ও মার্কিন কনস্যুলেটের দুই কর্মীকে হত্যা করে এবং তাদের মরদেহ ও যানবাহন আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। দূতাবাসের গাড়িবহরটি ওই এলাকায় পুলিশ বা কোনো নিরাপত্তা সংস্থার সহায়তা ছাড়াই সেখানে গিয়েছিল। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পৌঁছায়।”
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে এই ঘটনাকে হামলা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা দেখে মনে হচ্ছে মার্কিন কনভয়ের গাড়িতে হামলা হয়েছে। আমি আপনাকে যা বলতে পারি তা হলো, সেখানে কোনো মার্কিন নাগরিক ছিল না এবং তাই কোনো মার্কিন নাগরিক আহত হয়নি।
তবে গাড়িবহরে হামলা ও হতাহতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবগত বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ঘটনায় তদন্তের জন্য নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবার সঙ্গে কাজ করছে তাদের কূটনৈতিক কর্মীরা।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, “আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা সর্বদা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা দূতাবাসের বাইরে কোনো সফর আয়োজন করার সময় ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করি।”