হাইতিতে ভারী বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন। সোমবার (৫ জুন) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থা।
তীব্র বৃষ্টিপাতে হাইতির কয়েকটি নদীর পানি উপচে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে আকস্মিক বন্যা, পাহাড় এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এমন দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার।
হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি টুইট বার্তায় বলেন, ‘সরকার, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এক হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।’
বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মৃত্যু বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকায় কাজ করছে জরুরি পরিষেবাগুলো। এক টুইটে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) জানায়, “আমরা দ্রুত বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য খাবার সরবরাহ শুরু করব।”
এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লিওগানের অবস্থা বেশি খারাপ। শহরটির আশপাশের তিনটি নদী প্লাবিত হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
শহরটির কর্মকর্তারা বলছেন, এখানে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। লিওগানের মেয়র আর্নসন হেনরি বলেন, “শহরবাসী হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা সবকিছু হারিয়েছেন।”
হাজারো পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র হেনরি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, খাওয়ার পানি ও ওষুধ দরকার।
হাইতিতে নিয়োজিত জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়ক জঁ মার্টিন বাওয়ের বলেন, “যদিও এটি হারিকেন বা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় নয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অবস্থা আমলে নেওয়ার মতো।”