• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫
তথ্য ফাঁস

দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের ফ্ল্যাট-বাড়ির ছড়াছড়ি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের ফ্ল্যাট-বাড়ির ছড়াছড়ি
দুবাইয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের ধনকুবেরদের লক্ষ্য এখন মধ্যপ্রাচ্যের বিলাসবহুল শহর দুবাই। ব্যবসার সবচেয়ে বড় এই শহরটিতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছেন তারা। বিশেষ করে আবাসনবাজারে বিভিন্ন দেশের মানুষ বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছেন। এর মধ্যে সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সন্দেহভাজন অপরাধীরাও সংযুক্ত আরব আমিরাতের চোখ ঝলসানো শহরটিতে কিনছেন বাড়ি-ফ্ল্যাট। সেই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশিরাও। সেসব বাংলাদেশির কথা ফাঁস হয়েছে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দুবাইয়ে শতভাগ রেডি বা নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ২০২২ সালে ৩৯৪ জন। যারা মোট ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের ৬৪১টি সম্পদ কিনেছেন। তবে বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি বলছে, দুবাইয়ে ফ্ল্যাট কেনা বাংলাদেশির সংখ্যা আরও বেশি, ৫৩২ জন হতে পারে।

এর আগে ২০২০ সালে বাড়ি ফ্ল্যাট কেনা বাংলাদেশিদের সংখ্যা ছিল ৪০৫। যারা ২১ কোটি ১২ লাখ ডলারের ৬৫৭টি সম্পদ কিনেছিলেন। তবে কারা এসব সম্পদ কিনেছেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়নি প্রতিবেদনে।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত প্রায় এক দশক ধরেই বাংলাদেশিরা দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি ও আজমান শহরে নিজের ও অন্যের নামে নিজস্ব ভিলা, ফ্ল্যাট, ছোট হোটেল, তারকা হোটেলসহ নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে আসছেন। তবে সেসব বিনিয়োগে নিজেদের আড়াল করে রাখছেন অনেকেই। সেজন্য তারা বাংলাদেশের পরিবর্তে আলবেনিয়া, সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব ব্যবহার করেছেন।

এভাবে বাংলাদেশিরা আরব আমিরাতের কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ ‘পাম জুমেইরা’, জুমেইরা, সিলিকন ওয়েসিস, এমিরেটস হিল, দুবাই মেরিনা ও বিজনেস বের মতো অভিজাত এলাকাগুলোতেও নিজস্ব বাড়ি ও তারকা হোটেল কিনেছেন। যেসব এলাকায় বিভিন্ন দেশের ধনকুবেররাও সম্পদ কিনেছেন।

এত বিপুল বিনিয়োগের ফ্ল্যাট বাড়ি বাংলাদেশিরা কেন কিনছেন তার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগপ্রত্যাশী নীতির কথা বলা হয়েছে। কেননা, মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য যেন দরজা খুলে বসে আছে। বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকলেই যে কেউই সেখানে বাড়ি কিনতে পারছেন। এর বাইরে আর কিছুর দরকার নেই আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুবাই এখন বহুজাতিক নয়, বিদেশিদের শহর হয়ে গেছে। ৩০ লক্ষাধিক মানুষের দুবাই শহরে এখন আমিরাতিরা এখন মাত্র ৮ শতাংশ। অর্থ্যাৎ চূড়ান্ত সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে তারা। মূল্যের হিসাবেও দুবাইয়ের আবাসন খাতের ৪৩ শতাংশই এখন বিদেশিদের দখলে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২০২২ ও ২০২৩ সালে দুবাই শহরে রুশ ধনীদের আবাসন খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে যথাক্রমে ৯৪০ ও ১ হাজার ৫০০ শতাংশ। রুশ নাগরিকরা সম্পদ কেনায় এগিয়ে থাকলেও সম্পদের মূল্যের দিক থেকে সবার ওপরে ভারতীয়রা। ২০২২ ও ২০২০ সালে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা। তৃতীয় স্থানে ছিল সৌদি আরব। 

Link copied!