ইরানে বন্দী থাকা ৫ মার্কিন নাগরিক মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মুক্তি পাওয়া বন্দীরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে প্রাথমিকভাবে কাতারের দোহায় বিরতি নেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের পথে রয়েছেন বলে এক মার্কিন কর্মকর্তা ও বিষয়টির সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র জানিয়েছে। খবর সিএনএন
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পাঁচ বন্দীকে উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া একটি বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যার বিনিময়ে ইরান তার আটক থাকা ৬ বিলিয়ন ডলার ফিরে পাবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন কারাগারে বন্দী পাঁচ ইরানিকেও মুক্তি দেওয়া হবে।
চুক্তির অংশ তিন বন্দী– এমাদ শার্গী, মোরাদ তাহবাজ ও সিয়ামক নামাজিকে পাঁচ বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। নামাজিকে ২০১৫ সালে আটক করা হয়েছিল। বাকি দুই মার্কিন নাগরিকের পরিচয় জানা যায়নি।
বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, সিয়ামক নামাজির মা এফি নামাজি ও মোরাদ তাহবাজের স্ত্রী ভিদা তাহবাজ- যারা এর আগে ইরান ত্যাগ করতে অক্ষম ছিলেন, তারাও ইরান থেকে দোহা যাওয়ার বিমানে ছিলেন।
ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার আগে তাদের সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাতার সরকারের একটি বিমানে তেহরান থেকে দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সোমবার পাঁচ মার্কিন নাগরিকের মুক্তির পর দোহায় অবতরণের কিছুক্ষণ আগে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “আজ, পাঁচজন নিরপরাধ আমেরিকান যারা ইরানে বন্দী ছিল, তারা অবশেষে দেশে ফিরে আসছেন।”
আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কয়েক বছর ধরে জটিল এক পরোক্ষ আলোচনার পর বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হলো।
বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চুক্তিটির ফলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কোনোভাবেই পরিবর্তন হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরানকে তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়বদ্ধ রাখতে এবং তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে সীমাবদ্ধ রাখতে কাজ করবে।
বাইডেন তার বিবৃতিতে ‘কাতার, ওমান, সুইজারল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারসহ এই ফলাফল অর্জনে সহায়তা করার জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য দেশে ও বিদেশে অংশীদারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মার্কিন রিপাবলিকান ও ইরানি অধিকারকর্মীরা চুক্তিটির নিন্দা করে বলছেন, এটি কেবল আরও জিম্মি করাকে উৎসাহিত করবে।