ভারতে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে আবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছে। দেশটির হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামে শুরু হওয়া এই দাঙ্গা অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। সাম্প্রদায়িক এই উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে দেশটির সরকার। এ জন্য দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গত সোমবার মানু মানেশর নামের এক উগ্রবাদী গোরক্ষকের মিছিলের ডাক দেওয়ার মাধ্যমে গুরুগ্রামের মুসলিম অধ্যুষিত নুহ বিভাগে হিন্দু-মুসলিমদের মাঝে সংঘর্ষ বেধে যায়। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমটি।
জানা যায় মঙ্গলবার (১ আগস্ট) গুরুগ্রামের ৭০ নম্বর সেক্টরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মঙ্গলবার রাতে গুরুগ্রামের মুসলমানদের ওপর হামলা হয়, দোকানপাট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে গুরুগ্রামে খোলা পেট্রল ও ডিজেল বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে পুলিশ দেশটির গণমাধ্যমকে জানিয়েছে বুধবার সেখানে আর কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, ওই সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকাটির স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। একশ্রেণির মানুষ সেখানে গুজব ছড়াতে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব গুজব বিশ্বাস না করতে সাধারণ মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এ্বং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এদিকে দিল্লিতে যেন কোনোভাবেই সংঘর্ষ না ছড়ায়, সে জন্য নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ।