ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা রহস্যের জটখুলতে শুরু করেছে। মরদেহ লাপাত্তা থেকে শুরু করে নানা নাটকীয়তার পর উদ্ধার হয়েছে টুকরা করা মাংস ও হাড়গোড়। যদিও এই আলামতগুলো যে এমপি আনারের তা, এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কলকাতার গোয়েন্দারা ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়েছেন, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিবা গার্ডেন্সের সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরাগুলো মানুষের। এখন শুধু বাকি ডিএনএ টেস্ট।
আনোয়ারুল আজীম হত্যা মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কসাই জিহাদকে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মুম্বাই থেকে তাকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল।
অপর দিকে এ হত্যার সন্দেহভাজন হিসেবে নেপাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সিয়াম হোসেনকে। এই সিয়ামকে নিয়ে কলকাতা সিআইডির অভিযানে হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। তার ভাষ্যমতে, ওই হাড়গুলো এমপি আনারের। যদিও ডিএনএ টেস্টের আগে তা নিশ্চিত হতে পারেনি সিআইডি।
ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকায় বাগজোলা খালে তল্লাশির সময় সিআইডি জানায়, জিহাদ যেসব জায়গার টুকরা করা লাশের অংশ ফেলার কথা বলছিল, সিয়াম বলছে ভিন্ন কথা। নতুন যেসব জায়গার কথা সিয়াম বলছে, সেখানে আপাতত তল্লাশি হচ্ছে। তার তথ্য অনুযায়ী মিলছে নানা আলামত।
এদিকে মঙ্গলবার কসাই জিহাদ হাওলাদারকে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশের মামলায় হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। এর আগে সোমবার বিধান নগর আদালত থেকে জিহাদকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
সূত্র বলছে, এমপি আনার হত্যার নানা যোগসূত্র মেলাতে এখন সিআইডি সিয়াম ও জিহাদকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায়। কেননা, এখনো আনার হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং তার বাকি জিনিসপত্রের খোঁজ মেলেনি।
আনার হত্যায় সবশেষ ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে আটক করে ডিএমপির ডিবি পুলিশের একটি দল। ইতিমধ্যে তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।