আবারও কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেটা। সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এ সপ্তাহেই চাকরি হারাবেন হাজার হাজার কর্মী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি নিজেদের আরও শক্ত অবস্থানে নিতেই চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে গত নভেম্বরেই তাদের ১১ হাজার কর্মীকে ছাটাই করে। এরপর চার মাস পেরোতেই আবারও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ফেব্রুয়ারিতে ব্লুমবার্গ জানিয়েছিল, মেটা তাদের কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব এবং যেসব বিভাগ ‘অপ্রয়োজনীয়’ সেসব বিভাগকে ছেঁটে ফেলার পরিকল্পনা করছে। যদিও বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি তবে এই পদক্ষেপটি হাজার হাজার কর্মীর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে গেছে মেটার। এরপরই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালক ও ভাইস-প্রেসিডেন্টদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। যে তালিকা অনুযায়ী অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে পারে।
ছাঁটাইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, কয়েক দিন পর পিতৃত্বাকালীন ছুটিতে যাবেন সিইও মার্ক জুকারবার্গ। আর তিনি ছুটিতে যাওয়ার আগেই ছাঁটাইপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। মানে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা আসবে।
নাম গোপন রাখার শর্তে মেটার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যারা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন তাদের বিষয়টি ‘পরিধি কমানোর’ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। এ ছাঁটাইটি পুরোপুরি আর্থিকবিষয়ক। নভেম্বরে যখন মেটা কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়, তখন বিষয়টি সবার কাছে বিস্ময়ের মতো ছিল। তবে এরপর আরেক দফায় যে কর্মী ছাঁটাই করা হবে, সে বিষয়টি বেশির ভাগ মানুষের কাছে অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। জাকারবার্গ ২০২৩ সালকে মেটার ‘দক্ষতার বছর’ হিসেবে নামকরণ করেছেন। কর্মীদের কর্মক্ষমতা মূল্যায়নের সময় এই ধারণাটি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মেটার মেনলো পার্কের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রচণ্ড উদ্বেগ কাজ করছে। ছাঁটাই আতঙ্কে বর্তমানে তাদের মনোবল নষ্ট করে দিচ্ছে। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, যদি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ছাঁটাই করা হয় তাহলে হয়তো মার্চ মাসে বোনাস দেওয়ার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সেই বোনাসও তারা পাবেন না।
