• ঢাকা
  • রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ইরানে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ১৮, আহত সাত শতাধিক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
ইরানে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ১৮, আহত সাত শতাধিক
ছবি: সংগৃহীত

ইরানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক বন্দর আব্বাস বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জন। আহত হয়েছেন সাত শতাধিক মানুষ। রোববার (২৭ এপ্রিল) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের জিও নিউজ।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (২৬ এপ্রিল) ওমানে ইরানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফা পারমাণবিক আলোচনা শুরু হওয়ার সময় ইরানের আব্বাস বন্দরের শহীদ রাজাই অংশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, তবে দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্রের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

ইরানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফরি শহীদ রাজাইতে বিস্ফোরণের জন্য রাসায়নিকের দুর্বল মজুতকে দায়ী করেছেন। ইরানের আইএলএনএ সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, “কন্টেইনারের ভেতরে থাকা রাসায়নিকই ছিল বিস্ফোরণের কারণ।”

জাফরি বলেন, “এর আগে, সংকট ব্যবস্থাপনার মহাপরিচালক বন্দর পরিদর্শনের সময় এখানে সতর্কতা দিয়েছিলেন এবং বিপদের সম্ভাবনা উল্লেখ করেছিলেন।”

ইরান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, “রাসায়নিক পদার্থের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, যদিও সঠিক কারণ নির্ধারণ করা এখনও সম্ভব হয়নি।”

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।

ইরানের সরকারি সংবাদ চ্যানেলগুলো বিস্ফোরণের পর বন্দরের উপরে কালো ও কমলা রঙের ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ে যাওয়ার এবং একটি অফিস ভবনের দরজা উড়ে যাওয়ার এবং কাগজপত্র ও ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ার ফুটেজ প্রচার করেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মতে, কৌশলগত হরমুজ প্রণালীর কাছে অবস্থিত শহীদ রাজাই বন্দরটি ইরানের বৃহত্তম কন্টেইনার হাব, যা দেশের বেশিরভাগ কন্টেইনার পণ্য পরিবহন করে।

ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরণে কয়েক কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকাগুলোর ভবনের জানালা ভেঙে গেছে এবং বন্দর থেকে ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কেশমে একটি দ্বীপে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা রাস্তায় পড়ে থাকা আহত ব্যক্তিদের ফুটেজ পোস্ট করেছে।

বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তাদের মতে, যেখানে বিস্ফোরণটি ঘটেছে সেখানে সম্ভবত ‘বিপজ্জনক পণ্য এবং রাসায়নিক’ ছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় ইরানি পেট্রোলিয়াম পরিশোধন ও বিতরণ কোম্পানি এক বিবৃতিতে বলেছে, বিস্ফোরণের ফলে বন্দর এলাকার তেল স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কোম্পানিটি বলেছে, শহীদ রাজাই বন্দরের বিস্ফোরণ ও আগুনের সঙ্গে এই কোম্পানির পরিশোধন কেন্দ্র, জ্বালানি ট্যাংক, বিতরণ কমপ্লেক্স এবং তেল পাইপলাইনের কোনো সংযোগ নেই।

২০২০ সালের মে মাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই একই বন্দরে একটি বড় সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে। ওই হামলায় বন্দরের কম্পিউটার সিস্টেম বিকল হয়ে কয়েক দিন পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। 

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!