ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেফ বোরেল বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মর্মান্তিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ইউরোপবাসী জানেন না। তাদেরকে এ বিষয়ে অন্ধকারে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, গাজায় বহু সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, এবং অন্য সাংবাদিকদের সেখানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ইইউর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকার মানুষ যে পরিমাণ মর্মান্তিক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, তার ব্যাপ্তি সম্পর্কে ইুউরোপের মানুষ জানতে পারছে না। এর কারণ পশ্চিমা সাংবাদিকদের পক্ষে গাজায় যাওয়া সম্ভব হয়নি এবং বহু ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে সেখানে প্রাণ হারাতে হয়েছে।
তবে গাজায় কেন এই মর্মান্তিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সে কথা উল্লেখ করেননি এই কর্মকর্তা। তবে সম্মিলিতভাবে গাজা সংঘাতের একটি সমাধান খুঁজে বের করতে ইইউভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জোসেপ বোরেল আরও বলেন, “গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে সম্পর্কে ইইউর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতৈক্য না থাকার কারণে এ ব্যাপারে ইউরোপ কঠোর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।” একই কারণে গাজা পরিস্থিতিতে ইউরোপ দুর্বল অবস্থান নিয়েছে বলে তার ধারনা।
এই কর্মকর্তা বলেন, গাজাবাসীর এখন প্রচণ্ডভাবে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন। বোমা ও গুলির বাইরেও দুর্ভিক্ষ ও মহামারী সেখানকার লাখ লাখ মানুষের জীবনকে তাড়া করে ফিরছে।
বোরেল বারবার গাজাবাসীর এই দুর্দশার পেছনের শক্তি ইসরাইলের নাম উচ্চারণ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, “গাজা উপত্যকার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ১৯ লাখ মানুষই তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে।” তিনি গাজাবাসীকে এই উপত্যকার বাইরে পাঠানোর যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেন।
জোসেফ বোরেলের এই বিবৃতি নিয়ে সমালোচকরা বলছেন, গাজা পরিস্থিতির মর্মান্তিক অবস্থার খবর পুরো পৃথিবীই জানে সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের কারণে। জোসেফ বোরেল ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারার কারণেই এমন দায়সারা বিবৃতি দিয়েছেন।
সূত্র : প্রেস টিভি