রাশিয়ার পরিস্থিতিতে নজর রাখছে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো এবং সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের এক মুখপাত্র শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, রাশিয়ার পরিস্থিতিতে নজর রাখছে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউ’র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি বলেছেন, আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। মস্কোতে আমাদের স্থায়ী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে আমাদের সদস্য রাষ্টগুলোর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে। আমরা যা দেখছি তা রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ইস্যু।
ইউরোপীয় নেতারাও রাশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বলে জানিয়েছে এলিসি প্রাসাদ। এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কালাস টুইটারে রাশিয়ার অগ্রগতিতে নজর রাখার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, মিত্রদের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করা হচ্ছে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার ফোনালাপ করেছেন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বেলারুশের। লুকাশেঙ্কো পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত।
এর আগে শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপ সশস্ত্র বিদ্রোহ করেছে। এর মধ্যেই দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডনে সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে প্রিগোঝিনের সেনারা।
প্রিগোঝিন এবং তার যোদ্ধারা ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করে। এ সময় সীমান্ত রক্ষীদের থেকে কোনো প্রতিরোধের সম্মুখীন না হয়েই তারা রোস্তভ শহরে প্রবেশ করেছিল।