লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে আসন্ন ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক ফোনালাপের পর বৈঠকে সম্মত হন দুই নেতা।
এ সময় বাইডেন আশা প্রকাশ করেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ তিনি সুইডেনকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হিসেবে দেখতে চান। সংবাদমাধ্যম টিআরটি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাস সম্পর্কিত উদ্বেগের কারণে সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানে বাধা দিচ্ছে আঙ্কারা। ফোনালাপে এরদোয়ান বাইডেনকে বলেছেন, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবিরোধী সংশোধনী পাস করে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ নিয়েছে স্টকহোম। এছাড়া সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিষয়টি তুরস্ক ও হাঙ্গেরির বাধার কারণেও আটকে রয়েছে। কেননা, ন্যাটোর নিয়ম অনুযায়ী, নতুন সদস্য যুক্ত করতে হলে আগের সব সদস্যদেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের যোগাযোগ পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের চাওয়া পূরণে উদ্যোগ নিয়েছে স্টকহোম। কিন্তু সুইডেনে এখনো কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। এ কারণে স্কটহোমের এসব উদ্যোগ ফলপ্রসূ হচ্ছে না। ফোনালাপে বিষয়টি বাইডেনকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
দুই নেতার ফোনালাপের বিষয়টি রোববার (৯ জুলাই) হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ফোনালাপ চলাকালে দুই নেতা তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান প্রক্রিয়া এবং ন্যাটোর সঙ্গে ইউক্রেনের অবস্থান নিয়েও আলোচনা করেছেন।
ইইউতে যোগদানের ক্ষেত্রে তুরস্কের নীতি সঠিক ছিল উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, ‘আঙ্কারা ব্লকে পূর্ণ সদস্যতার জন্য তার যোগদান প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করতে চায়।’