ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিকোলাস মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই দেশটিতে ছড়িয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
রোববার (২৮ জুলাই) ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট হয়। নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো জয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটির রাজধানীতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষ মধ্য কারাকাসের রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের কেউ কেউ আবার কয়েক মাইল হেঁটে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে রওনা হন।
কিছু এলাকায় প্রেসিডেন্ট মাদুরোর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। টায়ার ও গাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়েছে। সশস্ত্র পুলিশ, সেনা ও বামপন্থী আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্রের বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল সতর্ক করে বলেছেন, প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সড়ক অবরোধ করা হলে, বিশৃঙ্খলা করা হলে আইনের পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করা হবে।
নির্বাচনীসামগ্রী ধ্বংস করা থেকে শুরু করে সহিংস কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইতিমধ্যে ৩২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল।
মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করার বিষয়টিকে ‘জোচ্চুরি’ বলে অভিহিত করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, বিরোধীদলীয় প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া নির্বাচনে ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনের আগে পরিচালিত একাধিক জরিপে গঞ্জালেজের সুস্পষ্ট বিজয়ের আভাস দেওয়া হয়েছিল। তবে ভোট গণনা শেষে মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির জাতীয় নির্বাচনী পরিষদ (সিএনই)।
কয়েকটি পশ্চিমা ও লাতিন আমেরিকার দেশ এবং জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা ভোটের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল আলাদা করে প্রকাশ করার জন্য ভেনেজুয়েলার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
নির্বাচনে মাদুরোকে জয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রতিক্রিয়ায় বুয়েনস এইরেস থেকে নিজেদের কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভেনেজুয়েলা।
লাতিন আমেরিকার আরও ছয় দেশ—চিলি, কোস্টারিকা, পানামা, পেরু, ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র ও উরুগুয়ে থেকেও কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করেছে ভেনেজুয়েলা।