আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। আগামী ২৮ এপ্রিল এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২৩ মার্চ) এই সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচনের দৌড় শুরু হয়েছে, যা কার্নির দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই এলো। তিনি জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
মার্ক কার্নি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি, যা প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের অন্যায় বাণিজ্যিক পদক্ষেপ এবং আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি তার হুমকির কারণে সৃষ্টি হয়েছে।’তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি কানাডার জনগণের কাছে শক্তিশালী ও ইতিবাচক সমর্থন চাই, যাতে আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারি এবং এমন একটি নতুন কানাডিয়ান অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারি যা সবার জন্য কাজ করবে। কারণ আমি জানি, আমাদের পরিবর্তন দরকার, বড় পরিবর্তন, ইতিবাচক পরিবর্তন।’
আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আগাম ভোটের মাধ্যমে কার্নি তার লিবারেল পার্টির সুবিধা নিশ্চিত করতে চাইছেন। ট্রুডোর জানুয়ারি মাসে পদত্যাগের ঘোষণা এবং ট্রাম্পের হুমকির পর থেকে লিবারেলদের প্রতি জনসমর্থন বেড়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবির ফলে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে কানাডার সরকার যেভাবে কঠোর ও ঐক্যবদ্ধভাবে ওয়াশিংটনের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা অনেক কানাডিয়ানের সমর্থন পেয়েছে।
তবে লিবারেল পার্টিকে আগে থেকেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বাড়ির উচ্চমূল্য এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের সংকটের কারণে। সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, তারা এখন বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে রয়েছে।
এ বছরের জানুয়ারিতেও কনজারভেটিভ পার্টি লিবারেলদের চেয়ে দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল এবং ধারণা করা হচ্ছিল যে তারা সহজেই বিজয়ী হবে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ১৮০ ডিগ্রি উলটে গেছে।