২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ কয়েকটি ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক।
তুরস্ক-সিরিয়া
৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। পরবর্তীকালে ৬ হাজারের বেশি আফটার শকও অনুভূত হয়। এ ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। ভয়াবহ এ কম্পনের কারণে সাজানো গোছানো তুরস্ক পুরো লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তুরস্কের পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসেও ভয়াবহ এ কম্পন অনুভূত হয়।
মরক্কো
৮ সেপ্টেম্বর ৬ দশমিক ৮ একটি মাত্রার ভূমিকম্প মরক্কোর মারাকেশ-সাফি অঞ্চলে আঘাত হানে। এ ভূমিকম্পে ২ হাজার ৯৪৬ জনের নিহতের তথ্য পাওয়া যায়। এদের বেশির ভাগই মারা গেছে মারাকেশের বাইরে। এ কম্পনের ফলে মারাকেশের ভবন এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্পেন, পর্তুগাল ও আলজেরিয়াতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের হেরাতে ৭ অক্টোবর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। দুটি কম্পনেরই মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে সকালে। এর প্রায় ৩১ মিনিট পর দ্বিতীয়টি আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪৪৫ জন নিহত এবং আরও ২ হাজার জন আহত হয়েছেন।
তাজিকিস্তান
চলতি বছরের শুরুতে ২৩ ফেব্রুয়ারি পূর্ব এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানে ৭ দশমিক ২ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ ভূমিকম্পের ফলে চীনের পশ্চিম জিনজিয়াং প্রদেশের কাশগার ও আরতুক্সসহ কিছু এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প আঘাত হানার ২০ মিনিট পর ৫ ও ৪ দশমিক ৬ মাত্রার আরও ২টি আফটার শক কম্পন অনুভূত হয়।
চীন
১৯ ডিসেম্বর চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৩০ জন। চীনের গানসু ও কিংহাই প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে ৬ আগস্ট পূর্ব চীনের শানডং প্রদেশের পিংইয়ুয়ান কাউন্টিতে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে কেই নিহত হয়নি, তবে আহত হন ২১ জন। ভূমিকম্পের আঘাতে ১২৬টি বাড়ি ধসে পড়ে।
ফিলিপাইন
৪ ডিসেম্বর ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৪ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে ৪ জন নিহত হয়। এর আগে ১৭ নভেম্বর মিন্দানাও অঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলের মাসবেত প্রদেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১।
ইন্দোনেশিয়া
৮ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ারে বান্দা সাগর অঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের তিন দিন পর ইন্দোনেশিয়ার উত্তর উপকূল পাপুয়ায় আঘাত হানে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প। ভূমিকম্পে অন্তত চারজন নিহত হয় এবং বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।