মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১৪৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭৩২ জন। সামরিক সূত্রের বরাতে এতথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির বার্মিস টিম জানিয়েছে, হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছেন মিয়ানমারের সামরিক নেতা মিন অং হ্লায়িং। তার আশঙ্কা, হতাহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি আফটার শক হয়।
ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডও। দেশটির নির্মাণাধীন ৩০ তলা একটি ভবন ধসে পড়েছে। থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন বলছে, নির্মাণাধীন ৩০ তলা ভবন ধসের ঘটনায় আগে যেখানে ৪৩ জন নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটি বেড়ে ৭০ জন হয়েছে।
তবে ধসের সময় ভবনটিতে প্রায় ৩২০ জন কর্মী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ২০ জনের মতো লিফটে আটকা পড়েন।
ওই ভবনের নিচে পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা অস্পষ্ট। উদ্ধারকারীরা জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাংককে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ভূমিকম্পের কারণে থাইল্যান্ডের স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে থাই এনকোয়ারার।