অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন মাইক্রোফাইন্যান্স ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য তিনি ও তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে।
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। এবার ২০২৫ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেলেন।
সম্প্রতি ২০২৫ সালের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশ করেছে আম্মানের দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার। সেই তালিকায় ৫০ নম্বরে রাখা হয়েছে অধ্যাপক ইউনূসকে।
প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রভাব ও অবদান পর্যালোচনা করে প্রকাশিত হয় ‘দ্য মুসলিম ৫০০: দ্য ওয়ার্ল্ডস ৫০০ মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস’, যা ১৬ বছর আগে থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে।
এই তালিকায় প্রভাবশালী মুসলিমদের নির্বাচন করা হয় পাঁচটি মূল ক্যাটাগরির ভিত্তিতে: ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া ও বিনোদন। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেইসব মুসলিম ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের জন্য উদাহরণ হিসেবে কাজ করেছেন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, মাইক্রোফাইন্যান্স ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন। তার দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতাই তাকে প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তালিকার নারী বিভাগের ‘উইমেন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন জর্ডানের রানী রানিয়া আল-আবদুল্লাহ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা এবং সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে আসছেন এবং তার এ অবদান তাকে এই সম্মানজনক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবন আল-হুসেইন। এরপর আছেন ইয়েমেনের ধর্মীয় নেতা স্কলার এবং দার আল-মুস্তাফা শিক্ষালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আল হাবিব উমর বিন হাফিজ। তৃতীয় স্থানে আছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকার চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং সৌদির আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল-আজিজ আল-সউদ।