যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আদালত অবমাননার অভিযোগে পাঁচ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) নিউইয়র্কের একটি আদালত এই জরিমানা করেন।
আদেশে বিচারক এনগোরন বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালত থেকে গ্যাগ অর্ডার লঙ্ঘনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া হিসেবে যথেষ্ট সতর্কতা পেয়েছেন। স্বীকার করেছেন যে তিনি বুঝতে পেরেছেন ও এটি মেনে চলবেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, এরপর আর সতর্ক করা হবে না। গ্যাগ অর্ডার লঙ্ঘনের ফলে ‘কারাবাস’ হতে পারে।”
নিউইয়র্কের ওই আদালতে জালিয়াতি অভিযোগে ট্রাম্পের বিচার চলছে। বিচারক জানান, পোস্টটি প্রচার ওয়েবসাইট থেকে সরানো হয়নি। ১৭ দিন ধরে সেই ওয়েবসাইটে ছিল। পরে একটি ই-মেইলের প্রতিক্রিয়ায় গভীর রাতে সরানো হয়।
এ বিষয়ে ট্রাম্পের অ্যাটর্নি ক্রিস ক্ষমা চেয়ে জানান, পোস্টটি ‘অজান্তে’ ট্রাম্পের প্রচার ওয়েবসাইটের রয়ে গিয়েছিল। ট্রাম্প পোস্টটি সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারক তার আদেশে বলেন, “ভবিষ্যতের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যেকোনো ধরনের আদেশ লঙ্ঘনে আরও কঠোর আদেশ দেওয়া হবে। এতে বেশি আর্থিক জরিমানাসহ আদালত অবমাননার দায়ে কারাবাস হতে পারে।
এর আগে বিচারক আর্থার এফ এনগোরন ট্রাম্পকে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন যে গ্যাগ অর্ডার অনুসারে আদালতের কোনো কর্মী সম্পর্কে কথা বলতে পারবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই আদেশ তিনি মানেননি। ফল হিসেবে শুক্রবার তাকে নিউইয়র্কের বিচারক এ জরিমানা দেন।
বিচারক আর্থার এনগোরনের কর্মচারীকে আক্রমণ করে নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ছবি করেন ট্রাম্প। বিষয়টি আমলে নিয়ে বিচারিক কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন ৩ অক্টোবর সব পক্ষের জন্য গ্যাগ অর্ডার দেন এনগোরন। ট্রাম্পের পোস্টে দাবি করা হয় ওই কর্মী ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমারের বান্ধবী।