বেতন-বৈষম্য দূর করার দাবিতে ইংল্যান্ডে কয়েক হাজার জুনিয়র চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মী তিন দিনের ধর্মঘট পালন করছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) থেকে তাদের এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ধর্মঘটের কারণে দেশটিতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এনএইচএসের ইংল্যান্ড ন্যাশনাল মেডিকেল পরিচালক স্টিফেন পোওয়িস বলেন, “চিকিৎসাসেবা খাতের জন্য এই তিন দিন বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে ধর্মঘট চলার সময় রোগীদের জরুরি চিকিৎসাসেবা, ক্যানসারের জরুরি চিকিৎসা এবং জরুরি অস্ত্রোপচারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, প্রতি ঘণ্টা কাজ করে তারা যে পরিমাণ মজুরি পান, যুক্তরাজ্যে একটি অভিজাত কফিশপের কর্মীদের ঘণ্টাভিত্তিক মজুরি তার চেয়ে বেশি। তাই মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) আওতাধীন জুনিয়র চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ট্রেড ইউনিয়ন জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কনিষ্ঠ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মীদের সর্বনিম্ন মজুরি প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ১৪ দশমিক শূন্য ১ পাউন্ড বা ১৭ ডলার ৪ সেন্ট। একই সময়ে বারিস্তার (চেইন কফিশপ) একজন কর্মী এর চেয়ে ১ পেন্স বেশি মজুরি পান। তারা প্রতি ঘণ্টায় ন্যূনতম ১৯ পাউন্ড মজুরি চান।
এর আগের ২০১৯ সালে কনিষ্ঠ চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা নিয়ে চার বছরের জন্য একটি চুক্তি করা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, প্রতিবছর তাদের মজুরি ২ শতাংশ করে বাড়বে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বেতন নিয়ে আলোচনার জন্য ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বার্কলে বলেন, “আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করছি।”
দীর্ঘদিন ধরে বেতন বাড়ানোর দাবি পূরণ না হওয়ায় তিন দিনের ধর্মঘট শুরু করার কারণে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে চাপে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকার।