অবশেষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে ‘গাজা প্রস্তাব’। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। এ প্রস্তাবে মূলত গাজায় অধিকহারে ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করার বিষয়টি বলা হয়। কিন্তু প্রস্তাবটিতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি হামাস।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরব আমিরাতের উত্থাপিত এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোট প্রদান থেকে বিরত থেকেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এক সপ্তাহ আগে এ প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তোলে। প্রস্তাবটির প্রাথমিক খসড়ায় গাজায় ‘অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা’ পাঠানোর বিষয়টি বলা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কারণে প্রস্তাবটি তিন দফায় প্রায় এক সপ্তাহের মতো পিছিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রস্তাবটি থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি বাদ দিতে বাধ্য করে।
পাসকৃত এ প্রস্তাবটিতে যুদ্ধবিরতির কথা না বলায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী তাদের বর্বরতা চালিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে হামাসও পাসকৃত এ প্রস্তাবটি নিয়ে তাদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে।
শনিবার সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, “গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির যে কথা বলা হচ্ছে, সেটি সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়। গত পাঁচদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এই প্রস্তাবটিকে দুর্বল আকারে প্রকাশ করতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আমাদের অসহায় সাধারণ মানুষকে ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে যে চেষ্টা চালাচ্ছে, এটি তার বিরুদ্ধে গেছে।”